মহাশূন্য সম্পর্কে অবাক করা তথ্য
রাতের
কালো আকাশের দিকে তাকালে
আমাদের মনে নানা প্রশ্ন
বাসা বুনে । জানতে
চাই কি আছে ঐ
কালো শুন্যের মাঝে ? সেখানে কি
আমাদের পৃথিবীর মতো কোন গ্রহ
আছে ? সেখানে কি আমাদের
মতো মানুষ আছে ? এমন
নানা প্রশ্ন মনের মাঝে
জাগে । আজকের
পোস্টে সেই মহাশূন্য সম্পর্কে
অবাক করা তথ্য
জানব, যেগুলো আপনি হয়ত
আগে জানতেন না ।
টিভিতে
মহাশূন্যের কোন ভিডিও ফুটেজ
বা ইন্টারনেট থেকে কোন স্থির
চিত্র দেখলে আমাদের মনে
হয় মহাশূন্য আমাদের থেকে অনেক
দূরে । কিন্তু
সত্য বলতে, মহাশূন্য আমাদের
থেকে মাত্র ১০০ কি.মি. দূরে ।
যদি মহাশূন্যে যাওয়ার জন্য কোন
সলিড রাস্তা থাকত তাহলে
সেখানে পৌঁছাতে মাত্র ১ ঘন্টা
সময় লাগত ।
মহাশূন্য
সত্যিকার অর্থে একটি নিরব
জায়গা । আপনি
সেখানে কোন বিন্দুমাত্র শব্দও
শুনতে পারবেন না ।
কারণ হলো, শব্দ তরঙ্গ
স্তানান্তরিত হওয়ার জন্য কোন
মাধ্যম দরকার । কিন্তু
মহাশূন্যে কোন বায়ুমন্ডল নেই
। যার দরুণ,
শব্দ তরঙ্গ স্তানান্তরিত হতে
পারে না, এবং কোন
শব্দ শুনাও যায় না
। আপনি বলতে
পারেন তাহলে মহাকাশচারীরা কিভাবে
কথা বলে ? উত্তর হলো,
তারা রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে
যোগাযোগ করে । রেদিও
ওয়েভ মহাশূন্যে ট্রাভেল করতে পারে ।
আপনি কি মনে করেন
শুধুমাত্র পৃথিবীতেই ময়লা আবর্জনা রয়েছে
? ওয়েল, আবার চিন্তা করেন
কারণ ৫ লাখেরও বেশি
স্পেস আবর্জনা পৃথিবীর কক্ষপথে প্রতিনিয়ত ঘুরছে । এখন
আপনি ভাবতে পারেন, এগুলা
কি কোন ক্ষতি করবে
না ? হ্যাঁ, এগুলো ক্ষতি
করতে পারে । কারণ
এগুল ১৭,৫০০ মাইল
পার ঘন্টা গতিতে ঘুরছে
। দূর্ঘটনাবশত এগুলো
স্যাটেলাইটগুলোর বড় ধরণের ক্ষতি
করে দিতে পারে ।
পৃথিবী
থেকে ১০ বিলয়ন আলোকবর্ষ
দূরে পানির বাস্পের আধার
পাওয়া গেছে । যেখানে
এমন পরিমাণে পানি আছে যা
পৃথিবীর টোটাল পানির চেয়ে
১৪০ ট্রিলিয়ন গুণ বেশি ।
এটি মহাশূন্যের একটি অন্যতম বড়
জলাধার । যা
সত্যিই অবাক করা বিষয়
।
No comments
Post a Comment